৯ আষাঢ়, ১৪৩২

২৩ জুন, ২০২৫

জুলাইয়ে পুলিশের গুলিতে আহত মিলনের নাম নেই আহতদের তালিকায়

নয়া শতাব্দী ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫, ১২:৩১ অপরাহ্ন
জুলাইয়ে পুলিশের গুলিতে আহত মিলনের নাম নেই আহতদের তালিকায়

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বগুড়া শহরে ৪রা আগস্ট পুলিশের ছোঁড়া ১৮টি ছররা গুলিতে আহত হন মিলন। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো চিকিৎসা খরচ পায়নি সে। এমনকি সরকারের করা আহতদের তালিকায় নেই তার নাম।

মিলন হোসেন রাকিব নাটোরের সিংড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির ১নম্বর সদস্য ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি পৌরসভার নিংগইন মহল্লার মৃত কালাম ও মোছা: মরিয়ম বেগম দম্পতির সন্তান।

সর্বশেষ গত এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় তার শরীরে লাগা ১৮তম গুলি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদল নেতা মিলন হোসেন রাকিব বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে তিনি ১৮ জুলাই প্রথম দিনে সিংড়ায় আন্দোলনে অংশ নেয়। এরপর ১৯ জুলাইও আন্দোলন করে। পরবর্তীতে ১লা, ২রা, ৩রা ও ৪রা আগস্ট বগুড়া শহরে ছাত্র-জনতার সাথে আন্দোলনে অংশ নেয়। পুলিশের সাথে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ৪রা আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে তার শরীরে ১৮টি ছররা গুলি ঢুকে। তাৎক্ষণিক তাকে বগুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ১৫টি গুলি বের করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি আনা হয়। সরকার পতনের দিন ৫ আগস্ট সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আহত অবস্থায় পূণরায় সে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। আহতেদের তালিকায় নাম না থাকা ও সুচিকিৎসা না পাওয়ায় আশাহত তিনি। ছেলের সুচিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন মা মরিয়ম বেগম।

উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, মিলন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় নেতা। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হলেও সরকারি তালিকায় তার নাম নেই। পরিবারের অর্থে চিকিৎসা করেছেন। তার নাম তালিকাভুক্ত করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকারিভাবে তালিকা হয়েছে। কিছুদিন আগে দ্বিতীয় দফা তালিকা হয়েছে। তিনি এখন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে যোগাযোগ করলে সরকারি তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারবেন। এছাড়া জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে চিকিৎসা বাবদ আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।

নয়াশতাব্দী/এস আর