
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির খবর দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে। এসব প্রতিবেদনে বিক্ষোভ কর্মসূচির বিভিন্ন দিক গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।
এই সংবাদের ভেতরে এপি লিখেছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বাংলাদেশের রাজধানীতে গাজায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাতে র্যালি করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় ১ লাখ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল। তাদের সঙ্গে ছিল শতশত ফিলিস্তিনি পতাকা। সেখানে তারা ‘ফ্রি ফ্রি, ফিলিস্তিন’ এর মতো স্লোগান দিয়েছেন।
এপির বরাত দিয়ে এই সংবাদটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়—প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিতে ‘জুতাপেটা’ করেছেন বাংলাদেশের মানুষ।
আরব নিউজ
আরব নিউজের খবরে দাবি করা হয়েছে, ঢাকার সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। এটাকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় সংহতি সমাবেশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলেছে, সমাবেশে প্রায় এক লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। এতে বিএনপিসহ ইসলামপন্থি দলগুলোর সমর্থনের কথা উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানীতে লাখো মানুষ ইসরাইলবিরোধী সমাবেশে অংশ নিয়েছে এবং গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কানাডার সিটিভি নিউজেও একই কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের ফিলিস্তিনপন্থি সমাবেশের খবর প্রকাশ হয়েছে টাইমস অব ইসরাইলেও।
আল-জাজিরা
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরায় ঢাকার ‘মার্চ ফর গাজা’র তিনটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ফিলিস্তিনপন্থি লাখো জনতা বাংলাদেশে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের র্যালিতে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নানা স্লোগান দিয়েছেন। গাজায় চলমান গণহত্যার নিন্দা ও ফিলিস্তিনবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন তারা।
নয়াশতাব্দী/জিএস