
পবিত্র ‘আশুরা’ হলো ইসলাম ধর্মের একটি স্মরণীয় দিন’। এদিনে হযরত মুহম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) শাহাদাত বরণের স্মরণে ১০ মহররম ইতিহাসে এক মর্মস্পর্শী ও বেদনাদায়ক দিন।
শনিবার (০৫ জুলাই) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ নিয়ে গণমাধ্যমে এক বার্তা পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ দিবসটি আজও আমাদেরকে গভীর দুঃখ ও বেদনায় ভারাক্রান্ত করে তোলে। বিশ্ব মুসলিমসহ সারা মানবজাতিকে শোক ও বেদনায় মুহ্যমান করে তোলে। আবার এ দিনটি সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে মজলুমের স্পষ্ট প্রতিবাদের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার সারা দেশকেই কারবালার প্রান্তরে পরিণত করেছিল। জুলুম-হিংস্রতা ও রক্তপাতের এক দুঃসহ দুঃশাসনের মধ্যে জীবন কাটাতে হয়েছে এদেশের মানুষকে। গত দেড় দশক ধরে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে অদৃশ্য করা হয়েছিল। গণতন্ত্রকামী মানুষের স্থায়ী ঠিকানা ছিল কারাগারে। বিপুল জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বিদেশে তার সুচিকিৎসার আবেদনকে অগ্রাহ্য করে তাকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেয়া হয় উল্লেখ করেন এ বার্তায় মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, কারবালার প্রান্তরে ইমাম বাহিনীর মহিমান্বিত আত্মত্যাগের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আওয়ামী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সংগ্রামী নেতাকর্মীরা ৫ আগস্ট দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করে।
আশুরা ত্যাগ, নৈতিকতা ও অন্যায়কে প্রতিহত করার শিক্ষা দেয় এবং নিপীড়িতদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সংহতি জাগিয়ে তোলে। ব্যক্তিগত কোন অভিলাষ নয় বরং অবিচার, জবরদস্তি, মিথ্যা অহংকার ও আত্মসম্মানহীন নিপীড়কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা ১০ মহরমের মূল বাণী। ইমাম হোসেনের (রা.) নিজের আত্মত্যাগের এই ঘটনা সারা দুনিয়ার সকল মজলুমকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রেরণা যুগিয়ে চলেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আজকের এ দিনে আমি হযরত ইমাম হোসেন (রা,) এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি ইমাম হোসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবার এবং কারবালার শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন গণমাধ্যমে এ বার্তা পাঠান।
নয়াশতাব্দি/এনএ