
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শিমুলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের নতুন এডহক কমিটি বহাল রাখা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
১৯ মে, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উক্ত বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে শাহারিয়ার, আশরাফুল ইসলাম, তারা শংকর সরকার, রোমান মিয়া ও বাদল মিয়াসহ শতাধিক এলাকাবাসী লোকজন অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫ আগষ্ট গণঅভুত্থানের পর সকল গ্রামবাসী ঐতিহ্যবাহী শিমুলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি অনুমোদনের জন্য অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নতুন এডহক কমিটির সভাপতি পদে ৩জনের নাম প্রস্তাবনার লিখিত কপি প্রধান শিক্ষক কর্তৃক উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিনের কাছে দেয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ওই কমিটির অনুমোদন না দেয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার পর জানতে তারা পারে এলাকাবাসীর দেয়া এডহক কমিটি অনুমোদন না দিয়ে অন্য একজনকে এডহক কমিটির সভাপতি বানানোর জন্য একটি মহলের চাপ রয়েছে। এতে করে এলাকার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে একদল কুচক্রান্তকারী মহল।
তারা আরও বলেন, পূর্বের কমিটি বাদ দিয়ে নতুন করে এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হলে এলাকবাসীর নায্য অধিকারকে ক্ষুন্ন ও বিছিন্ন করা হবে।
এ ঘটনায় ১৮ মে, রবিবার কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর এবং ১৯ মে, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অর্ধশতাধিক লোকজনের গণস্বাক্ষরের লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। সকলকে উপেক্ষা করে অন্য কাউকে এডহক কমিটি করা হলে, বৃহৎ বিক্ষভের হুশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে শিমুলকান্দি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আজাহারুল ইসলাম বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সিদ্ধান্তক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তিন জনের নাম দিয়ে একটি কমিটি ডিসি স্যারের নিকট পাঠানো হয়। এই কমিটি ডিসি স্যার ইউএনও মহোদয়ের নিকট ফেরত পাঠানোর পর জানতে পারি সালমা জামান নামে অন্য একজনের নাম দিয়ে প্রস্তাবনা পাঠানোর জন্য বলা হয়। তিনি এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করার জন্য বলেন।
সালমা জামানের পক্ষে থেকে জানা যায়, গত ১৫ বছর ধরে বর্তমান প্রধান শিকক্ষের দ্বারা স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট আ. লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জড়িত। ১৫ বছরের এ সকল দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যা বিদ্যালয় ও সমাজের জন্য কোন ভাল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে না। আ. লীগের দোষর হিসেবে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগও করেন তারা।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন বলেন, এডহক কমিটি নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, এই বিষয়ে আমি এখনো অবগত নয় এবং এলাকাবাসীরও কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। যদি এ বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসে তাহলে আমি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
নয়াশতাব্দী/এসআর