২১ আষাঢ়, ১৪৩২

০৬ জুলাই, ২০২৫

কম খরচে বেশি লাভে শেরপুরে কলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ৪:১০ অপরাহ্ন
কম খরচে বেশি লাভে শেরপুরে কলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় শেরপুরে দিন দিন বাড়ছে কলা চাষের জনপ্রিয়তা। জেলার মাটি ও আবহাওয়া কলা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় একবার চারা রোপণ করেই ২৪ মাসে তিনবার ফলন পাওয়া যায়। ফলে কৃষকদের মাঝে এই চাষ নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে এবং অনেকেই ইতোমধ্যে সফল হয়েছেন।

জেলার কৃষি বিভাগ বিভিন্ন জাতের কলা চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছে। বর্তমানে অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় কলা হয়ে উঠেছে এক সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল। বিশেষ করে ‘অমৃত সাগর’ জাতের কলা চাষে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন।

সদর উপজেলার চরশেরপুর ও নিমতলা গ্রামের কৃষকরা কলা চাষ করে ইতোমধ্যে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হয়েছেন। তাদের দেখে আশপাশের অনেক কৃষকও কলা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। কলার উৎপাদনও ভালো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে শেরপুরের ফরমালিনমুক্ত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ কলার সুনাম রয়েছে।

জেলার সদর, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে মালবোগ, চিনিপাম্পা, সবরি, মেহেরসাগর ও রঙিন মেহেরসাগর জাতের কলা চাষ হচ্ছে। অনেকেই ধান, পাট, গম, ভুট্টার পরিবর্তে এখন কলা চাষকেই বেছে নিচ্ছেন।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে শেরপুরে ৭২০ হেক্টর জমিতে কলা আবাদ হয়েছে। সাধারণত বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাসে ফলন শুরু হয়। প্রতিবিঘায় ৩০০–৩৫০টি কলার চারা রোপণ করা যায়, যাতে খরচ পড়ে ২০–৩০ হাজার টাকা। আর ফলন বিক্রি করে আয় হয় ৭০–৮০ হাজার টাকা। সঠিক পরিচর্যায় ও পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এক বিঘা জমি থেকে বছরে ৪০০–৪৫০ কাঁদি কলা উৎপাদন হয়, যা পাইকারি বাজারে বিক্রি করে ১–১.২ লাখ টাকা আয় সম্ভব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন জানান, কলা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এই চাষ আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে উচ্চফলনশীল জাত এবং আধুনিক কলা চাষে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।}

নয়াশতাব্দী/ইএইচ