
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আউয়াল বলেন, আমার জীবনে কখনোই কেউ অর্থ আত্মসাৎ বা দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারবে না। আমি স্বীকার করি ডামি নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু কেন? একটা রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, যারা অফিসার তাদেরকে আপনি প্রভাবিত করেছেন। বা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এটা কি আপনি মনে করেন?
আউয়াল বলেন, না আমি মনে করি না।
বিচারক তখন বলেন, কেন মনে করবেন না। আগের সময়ের তুলনায় হুট করে ইনকুয়ারি কমিটির পারিশ্রমিক এত বাড়ানো হলো কেন?
আউয়াল বলেন, কেউ দেখাতে পারবে না সিইসি নিজে ফিল্ড অফিসারদের টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বিচারক প্রশ্ন করেন, আপনার কাছে জাতির প্রত্যাশা বেশি ছিল। তা খর্ব হলো কেন?
উত্তরে আউয়াল বলেন, আমি গভীরভাবে আমার কাজ করেছি।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া আগামী এক হাজার বছরেও এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
উল্টো প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি বলেন, ডামি নির্বাচন কি আমার কারণেই হয়েছে?
বিচারক বলেন, কিন্তু আপনি তো পুরোটার প্রধান ছিলেন। অনিয়ম হলে তা জানিয়ে রিজাইন কেন দিলেন না?
উত্তরে আউয়াল বলেন, তা আমার পক্ষে সম্ভব না।
বিচারক বলেন, কেন?
আউয়াল বলেন, ৭২ এর নির্বাচনে শেখ মুজিবের মতো নেতা কারচুপি করেছিলেন। কেন? ক্ষমতার লোভ।
বিচারক বলেন, কিন্তু আপনার কাছে জাতির প্রত্যাশা বেশি ছিল। আপনি রিজাইন দিলে সবার কাছে একটা ম্যাসেজ যেত।
আউয়াল বলেন, আমি সেটা পারতাম না। দলীয় সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সব গুলোই ছিল বিতর্কিত।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, এখন আর জাস্টিফাই করার সুযোগ নেই।
আউয়াল তখন বলেন, তাহলে একটা রিভলবার দিয়ে মেরে ফেলেন। নির্বাচনে আমরা লজিস্টিক সাপ্লাই করি। কোনো অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিই।
রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, এখানে সাধু সাজার সুযোগ নেই। আপনি সবাইকে দোষারোপ করছেন। আপনি বলেন, তখন আপনি কী করেছেন?
নয়াশব্দী/এনএ