
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল হালখাতা। গ্রামগঞ্জ-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষে পুরোনো হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। আধুনিক জীবন ব্যবস্থায় আগের জৌলুশ না থাকলেও ধুঁকে ধুঁকে এখনো টিকে আছে সেই ঐতিহ্য। বিশেষ করে পুরান ঢাকার আদি ব্যবসায়ীরা হালখাতা এখনো টিকিয়ে রেখেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও টিকে আছে কোনোরকমে।
পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা জানান, করোনা মহামারি ও এরপরের দুই বছর পহেলা বৈশাখ ঈদের মধ্যে পড়ায় সেভাবে হালখাতা করা যায়নি। এবার কিছুটা অনুকূল পরিবেশ থাকায় হালখাতায় কিছুটা প্রাণ ফিরেছে।
দেশের অনেক জেলায় হালখাতার প্রচলন থাকলেও এখন আর আগের মতো নেই। আগে হালখাতা উপলক্ষে দোকান সাজানো হতো, খাওয়ানো হতো মিষ্টি। এসবের প্রচলন আগের চেয়ে অনেক কমেছে।
ঢাকার মধ্যে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, শাঁখারী বাজার, শ্যামবাজার, ইসলামপুর, চকবাজার, বাবুবাজার, বাদামতলীতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখনো হালখাতার প্রচলন রয়েছে।
তাঁতি বাজারের কে বি গোল্ড হাউজের ম্যানেজার মিলন ঘোষ বলেন, ১৪ ও ১৫ এপ্রিল দু’দিনই আমাদের হালখাতার অনুষ্ঠান রয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী আমরা ১৪ এপ্রিল হালখাতা করি। আর ১৫ এপ্রিল সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী হালখাতা ও পূজা দেয়ার কর্মসূচি থাকে। হালখাতা উপলক্ষে দোকানে বর্ণাঢ্য সাজসজ্জা করা হয়।
ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রহিমুল্লাহ বলেন, হালখাতার দিন দেনাপাওয়া পরিশোধ হয়। ক্রেতারা নতুন করে লেনদেন করেন। সারা বছর যারা লেনদেন করেছে তাদের উপহার দেয়া হয়।
নয়া শতাব্দী/এসই